জলপাই খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

জলপাই খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা। আমাদের দেশের জনপ্রিয় একটি ফোন হচ্ছে জলপাই।শীতকাল আসতে না আসতেই আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে যায় জলপাই। আমরা সাধারণত জলপাই ডাল শাকসবজি সঙ্গে টক হিসেবে রান্না করে খেয়ে থাকি। তবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে কাঁচা জলপাই। জলপাই যেমন রয়েছে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষমতা। তেমন রয়েছে উপকার।

জলপাই খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা


প্রিয় পাঠক এখানে আমরা আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যেমন সিদ্ধ ও কাচা জলপাই খাওয়ার উপকারিতা সহ ইত্যাদি আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি সেগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে তো চলুন শুরু করা যাক।

জলপাই খাওয়ার সঠিক নিয়মঃ

জলপাই আমরা সাধারণত কাঁচা খেয়ে থাকি। কিন্তু জলপই খাওয়ার আরো বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন রান্না সঙ্গে ব্যবহার করে খাওয়া। আচার বানিয়ে খাওয়া। সিদ্ধ করে খাওয়া ইত্যাদি আরো বেশ কয়েকটি ভাবে এই জলপাই আমরা খেতে পারি। তবে সবথেকে জলপাই খাওয়ার পদ্ধতি হল কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া।
জলপাই খাওয়ার সঠিক সময় আমাদের প্রতিদিন প্রতিটি কাজ করার যেমন একটি উত্তম সময় থাকে। তেমনি প্রতিটা ফল খাওয়ারও উত্তম সময় রয়েছে। জলপাই খাওয়ার সবথেকে উত্তম সময় হলো সকালে খালি পেটে এবং ভরা পেটে খাওয়া অত্যন্ত ভালো। কারণ সকালে আমাদের পেটে খাদ্য পচনের ক্ষমতা সবথেকে বেশি থাকে। 

এবং রাতে এটার পরিমাণ কম থাকে। তাই আমাদের জলপাই খাওয়ার সঠিক নিয়ম হল সকালে খালি পেটে এবং খাবার পর ঘরে থাকে।

জলপাইয়ের উপকারিতাঃ

প্রতিটি ফলের যেমন উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে তেমনি জলপাইয়েরও রয়েছে উপকারিতা এবং অপকারিতা। এখন আমরা জানবো জলপাই খাওয়ার উপকারিতা।

ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ

আপনার শরীরটাকে যদি ক্যান্সার মুক্ত রাখতে চান। তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় জলপাই রাখেন। কারণ জলপাই একটি ভিটামিন ই এর বড় উৎসব। শরীরের ওজন ও ভিটামিন ই কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা দেয় বলে আমাদের শরীরের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে। তাই বলা যায় আমাদের শরীরের ক্যান্সার দূর করনে জলপাই আমাদের খাবার তালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত।

চোখের যত্নেঃ

আমাদের চোখে ভালো রাখার জন্য অতি বেশি মাত্রায় ভিটামিন এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর এই বেশি পরিমাণ ভিটামিন জোগাতে পারে জলপাই। ভিটামিন এর অভাবে আমাদের রাতকানা রোগ হয়ে থাকে। যাদের ভিটামিন এ এর ঘাটতি রয়েছে তারা তাদের শরীরের ভিটামিন এর চাহিদা পূরণের জন্য নিয়মিত খাবারে জলপাই রাখতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত সমাধান পেয়ে যাবেন।

সর্দি-কাশিঃ

আমাদের মধ্যে যাদের সর্দি-কাশি বারোমাসি লেগে থাকে। কোন মতে ভালো হতে চাই না। এদের সাধারণত বলে ওই এলার্জি সর্দি। আর সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পেতে হলে জলপাইয়ের তেলের ব্যবহার শুরু করুন। এটেল ব্যবহারে আপনি সহজেই আপনার সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাবেন। 
যেহেতু অল্প সারা বছর পাওয়া যায় না। সেহেতু আমরা জলপাইয়ের আচার কর সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। এতে করে প্রতিদিন যেন খাদ্য তালিকা এই ফলটা অল্প পরিমাণ হলেও যেন রাখতে পারি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

জলপাইয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। এতে করে সর্দি জ্বর সহ আরো কিছু রোগ থেকে আরেকজন অপেক্ষা ক্ষেত্রে জলপাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

এলার্জি প্রতিরোধকঃ

আমাদের মধ্যে যাদের জন্মগত জন্মগত এলার্জির সমস্যা রয়েছে। কাদের জন্য জলপাই একটি খুব উপকারী উপাদান। জল পেয়ে থাকা প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য কত সহ এলার্জি দূর করার ভূমিকা পালন করে থাকে।

ওজন কমায়ঃ

জলপাইয়ের রয়েছে লৌহ কোলেস্টেরল যা আমাদের শরীরের ওজন এবং ব্লাড প্রেসার কমাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হাড যন্ত্রের যত্নে জলপাইঃ

আমরা জানি যে আমাদের প্রত্যেকের শরীরে একটি করে হাড রয়েছে। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ লোকেরই দেখা যায় যে হার্টের সমস্যা এ হার্টের সমস্যার সাধারণত মানুষের রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে এই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর এ এর হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমাতে জলপাই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

জলপাইয়ের অপকারিতাঃ

জলপাইয়ের যেমন উপকারী গুণ রয়েছে তেমন কিছু অপকারই দিক রয়েছে। আমরা উপরের তথ্য থেকে পেয়েছি যে জলপাই একটি খুব উপকারী ফল যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এবার আমরা জানবো কিছু জলপাইয়ের অপকারিতা দিক সম্বন্ধে। জলপাইয়ের অপকারিতা দিক সম্বন্ধে বলতে গেলে কিছুই নেই। 
তবে যারা ওজন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে তাদের ক্ষেত্রে জলপাই না খাওয়াই ভালো কারণ জলপাই ওজন বাড়াতে নয় ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। অতিরিক্ত জলপাই খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের ওজন কমতে থাকে। এছাড়াও আমরা অনেকেই জলপাইয়ের আচার খেতে খুবই পছন্দ করে থাকি। 

কিন্তু অতিরিক্ত আচার খাওয়া আমাদের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। কারণ এতে অনেক ক্ষতি হতে পারে আর এই জলপাইয়ের আচার খালি পেটে কোন মতেই খাওয়া আমাদের জন্য ঠিক হবে না।

জলপাই খাওয়ার নিয়মঃ

আমরা জানি যে জলপাই একটি শীতকালীন ফল। আর এই জলপাই রয়েছে অনেক পুষ্টি গুনাগুন। জলপাই আমরা সাধারণত কাঁচা খেয়ে থাকি। এবং এর ভর্তা,আচার বানিয়ে,রান্নার সময় অন্যান্য তরকারির সাথে রান্না করে এবং ওষুধ হিসেবে আমরা জলপাই খেয়ে থাকি। সবথেকে উত্তম পন্থা হলো জলপাই কাচা খাওয়া। কারোর কাছে জলপাই খেলে খুব সহজেই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তের কোলেস্টেরলের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

শেষ কথাঃ

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনি যদি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চান। তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় জলপাই রাখুন। কারণ জলপাই খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আপনার শরীরের রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।

প্রিয় পাঠক আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই জলপাই খাওয়ার অপকারিতা এবং উপকারিতা সম্বন্ধে জানতে পেয়েছেন। যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url