পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের কুনি পার্ক নিরাময় উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের খুনি পাক নিরাময়ের উপায় সম্বন্ধে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। আপনি তেমন কোন তথ্য খুঁজে পান নাই। আমরা পায়ের বৃদ্ধাঙ্গলের খনিবাদ নিরাময়ের সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

প্রিয় পাঠক এখানে আমরা আরো কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। বৃদ্ধাঙ্গুলের খুনি পাক হওয়ার কারণ। সহ ইত্যাদি আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করেছি আশা করি সেগুলো আপনার অনেক কাজে আসবে তো চলুন শুরু করা যাক।
 

পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের কুনি কাকে বলে?

বৃদ্ধাঙ্গুলের কুনি পাপপায়ের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে একটি অন্যতম সমস্যা হলো খুনি পাক।পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের কোনার কুনি বৃদ্ধি পাওয়াকে কুনি পাক বলে। এটি একটি মানুষের সাধারণ সমস্যা। যা খুবই ব্যথা সৃষ্টি করে এবং অস্বস্তি ভাব অনুভব হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলের পায়ের নখের কোনার অংশ বৃদ্ধি পেয়ে নরম মাংসের ভেতরের দিকে প্রবেশ করলে বলে।

বৃদ্ধাঙ্গুল কুনি হওয়ার কারণ

সঠিক জুতা বা স্যান্ডেল না পড়লে, নখে ব্যাথা পেলে, সঠিকভাবে নখ না কাটলে, বৃদ্ধাঙ্গুলে অস্বাভাবিক নখ থাকলে সাধারণত এই রোগ হয়ে থাকে। হরমোন ও ডায়াবেটিস জনিত কারো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে পায়ের রক্ত চলাচল কমে যায়। ফলে বৃদ্ধাঙ্গুলে এই সমস্যাটি বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও এই রোগ জিংগত সমস্যার কারণে ও হতে পারে।

পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের কুনি পাক নিরাময়ের উপায়

  • প্রথমে নক থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর লোকটি সুন্দরভাবে নখের বাড়তি অংশ কেটে ফেলে দিতে হবে। নখের বাড়তি অংশ কাটা এবং পরিষ্কারের পর এটি ধৌত করে ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করে তাতে ভায়োডিল লাগাতে হবে।
  • চলাচল করে বাহির থেকে ঘরে আসলে পা পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং মাঝেমধ্যেই নখের কোনায় কোন ময়লা আছে কিনা তা দেখে পরিচয় করতে হবে।
  • এই রোগ থাকাকালী কাদা পচা পানি স্যাঁতশাঁতে জায়গার মধ্যে চলাচল বন্ধ করাই উচিত।
  • ছত্রা সংক্রমনের জন্য আমরা অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ ব্যবহার করতে পারি।
  • টপিকেল চিকিৎসার মাধ্যমেও এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব। যেমন ক্রিম ,লোশন, নখের পালিশের মত টপিক্যাল আন্টিফাঙ্গাল ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব।
  • তুতিয়া ব্যবহার করার মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব। প্রথমে তুতিয়া বাজার থেকে নিয়ে এসে ঘুরে করে বৃদ্ধাঙ্গুলের কোনি ভালো করে পরিষ্কার করে অল্প করে এই তুতিয়া লাগিয়ে ফোটা দুয়েক সরিষার তেল দিলে কুনি পাক ভালো হয়ে যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে উনি পাকের জায়গা যেন ঘা বা ক্ষত না থাকে। ঘা বা বেশি কথা থাকলে এই তুতিয়া ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এগুলো থাকা অবস্থা ব্যবহার করলে অনেক জ্বালা যন্ত্রণা করে।
  • এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে কুনি দূর করা যায়। যেমন, জলপাই তেল নারিকেলের তেল টিট্রি অয়েল নখে প্রতিদিন লাগালে নখের কুনি দূর হয়ে যায়। ভিনেগারের সাথে পানি মিশিয়ে পায়ের নখ যদি ভিজিয়ে রাখা যায় তাহলে খলিফা দূর হয়ে যায়।
  • পানির সাথে ব্রেকিং সোডা পেস্ট তৈরি করে নখে লাগালে কুনি দূর হয়ে যায়।পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলীর কুনি দূর করনের জন্য এলোপ্যাথি চিকিৎসাপায়ের নখের কুনি দূর করার জন্য এলোপ্যাথিক কিছু চিকিৎসা রয়েছে। এবং আমরা অনেকেরই এই ওষুধসময়ের নামে অজানা। আবার বর্তমানে বাজারের ফার্মেসিগুলোতেও গেলে আমরা আবার বিভিন্ন রকম নখের কুনি র ওষুধের সমাধান দেখতে পাই। তবে নখকুনি সমাধানের জন্য সবগুলোই ওষুধ কি কার্যকরী হয়ে থাকে আমাদের?
  • পায়ের নখের কুনই দূর করার জন্য যে এলোপ্যাথি যে ওষুধগুলো ব্যবহার হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডারমাসিম, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড।
  • ডারমাসিমঃ ডারমাসিম হলো এটি একটি জেল জাতীয় পদার্থ হয়ে থাকে। এটি আপনার পায়ের নখ কুনিতে ব্যবহার করার জন্য একটি পারফেক্ট সমাধান হতে পারে। ডারমাসিম এর মূলত কাজ হল নক কুনির ব্যথা কমানো। নখ কুনির সমাধানের জন্য এই জেলটি খুবই কার্যকরী হয়ে থাকে।

  • হাইড্রোজেন পার অক্সাইডঃ এটি হলো একটি তরল পানিজাতীয়। যেকোনো স্থানে এটির ব্যবহার করা যায় বিশেষ করে নখের কোনায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করার জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

লেখক এর মন্তব্যঃ

মায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের টুনিপাক নিরাময় উপায় সম্পর্কে আমারা মন্তব্য। আমাদের প্রতিদিন আমাদের পা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এবং এটা অভ্যাসের পরিণত করা উচিত। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানলাম যে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে পরিপাক নিরাময়ের উপায়।

যদি আজকের এই বিষয়টি ভালো লেগে থাকে। তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন আর এরকমই নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url