সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
সজিনা পাতা খাওয়ার নিয়ম ও সঠিকসময়:
সজিনা পাতা সারা বছর ধরে পাওয়া যায়। এবং সিজনে বেশি পাওয়া যায়। এটি খাওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে এটির জুস তৈরি করে খাওয়া। আবার আমরা অনেকে রান্না করে খাই।
অনেকে কাঁচা চিবিয়ে খায়। এবং সজিনা পাতা শুকিয়ে ব্লেন্ডারে গুড়ি করে পাউডার তৈরি করে দুধের সাথে মিশিয়ে খায় বা এমনিতেই খায়। এর প্রতিটি উপায়ে খাওয়া যায়। সর্বোত্তম হল জুস এবং পাউডার এর সাথে দুধ মিশিয়ে খাওইয়া। এটি খাওয়ার উত্তম সময় হলো সকাল এবং রাতে।
ভূমিকা:
কেন খাবো আমরা এই মরিঙ্গা পাউডার:
সাধারণত যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সে খাবারগুলো থেকে আমাদের শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না। এই মরিঙ্গা পাউডার মধ্যে আমাদের শরীরে যে ছয়টি পুষ্টি উপাদান দরকার হয়ে থাকে তার প্রায় বেশিরভাগই রয়েছে।মরিঙ্গা পাউডার এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এইজন্যই আমরা মরিঙ্গার পাউডার খাব।
সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা:
আমরা প্রায় সবাই সজিনা পাতা খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা সবাই জানি না যে এর উপকারিতা এবং অপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সজিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা।
উপকারিতা:
সজিনা পাতাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, প্রোটি, পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের অন্ধত্ব রক্তস্বল্পতা এবং বিভিন্ন ভিটামিন জনিত রোগ দূর করনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমাদের শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সজিনা পাতা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতেও বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সজিনা পাতা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
মরিঙ্গা পাতা আমাদের শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মরিঙ্গা পতাকা খাওয়ার ফলে আমাদের লিভার ভালো থাকে।
অপকারিতা:
সজিনা পাতা একসঙ্গে অনেকগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে।
সুজিনা পাতা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে।
পেটের সমস্যা ক্ষধা মন্দা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
আমাদের মধ্যে যাদের ব্লাড প্রেসার আছে তারা যদি নিয়মিত সজিনা পাতার গুড়া বা রস খেতে থাকে তাহলে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে।
আমরা জানি যে সজিনা পাতা খেলে শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু সজিনা পাতা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলে তাহলে সুগার লেভেল অতিমাত্রায় কমে গিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদেরকে বিপদে ফেলে পারে।
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম:
মরুমকা পাউডার খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, তবে সাধারণ এটি রোজ খাওয়া উত্তম। প্রতিদিন একটি চা চামচ মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে পানি দুধ দুধ লেবু পানি ইত্যাদি সাথে খেতে পারেন। তবে কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ বা পরিমাণ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ভালো হতে পারে কারণ এটি বিশেষ ধরনের ভিটামিন খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোটিন ও অমেগা ফ্যাট এবং আরো অনেক উৎপাদন ধারণ করে। তবে যদি কোন নির্দিষ্ট অসুস্থতা থাকে বা কোন ধরনের খাদ্য তালিকা সঙ্গে মেলে না তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ব্যবস্থা নিন।
প্রতিদিন কতটুকু মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া উচিত:
মরিঙ্গা পাতা খাওয়ার সম্পর্কে প্রতিদিন কতটুকু খাবেন সেটা নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা, বয়স ও আপনার পূর্বের খাদ্য পদ্ধতি ও কথা উপর। তবে সাধারণত প্রতিদিন একা 1-2 টি মরিঙ্গা পাতা খাওয়া উচিত হতে পারে। তবে যদি আপনি মরিঙ্গা পাতা খাবার সম্পর্কে অধিক পরামর্শ প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে একজন পুষ্টিবিদ বা ডায়েটে শিয়ানের পরামর্শ করা উচিত।
সকালে মরিঙ্গা পাতা খাওয়ার উপকার
রাতে মরিঙ্গা পাতা খাওয়ার উপকার
কি আছে এই সজিনা পাতাতে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url